
ফুসফুসের যত্ন নেওয়া, সেটিকে ভাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেটি কাজ না করলে তার পরিণতি মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই নয়। সে কারণে পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়া থেকে ধূমপান এড়িয়ে চলার মতো নানা অভ্যাসের কথা উঠে আসে।
এই সবের বাইরেও কিছু ছোটখাটো দৈনন্দিন বিষয় থাকতে পারে যা আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করছে। এর মধ্যে একটি হল আপনার বালিশ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কীভাবে বালিশ আপনার ফুসফুসকে প্রভাবিত করে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বালিশ পুরনো হলে এবং ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে, এটি আপনার ফুসফুসের এমন ক্ষতি করতে পারে যা কল্পনার অতীত।
কীভাবে বালিশ ফুসফুসের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে?
পুরনো বা অপরিষ্কার বালিশে অ্যালার্জেন, ধুলো-কণা, ফাঙ্গাস জন্ম নিতে পারে, যা হাঁপানি (Asthma) বা হাইপারসেনসিটিভিটি নিউমোনাইটিসের মতো ফুসফুসজনিত রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিংবা যাঁদের এই সমস্যা আছে তাঁদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ফোম বালিশে ছাঁচের উপস্থিতি বিশেষভাবে হাইপারসেনসিটিভিটি নিউমোনাইটিস এর সঙ্গে যুক্ত। যা ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রদাহ ঘটায়। চিকিৎসা না হলে এটি ধীরে ধীরে পালমোনারি ফাইব্রোসিস এবং শ্বাসকষ্টজনিত ব্যর্থতায় (respiratory failure) রূপ নিতে পারে।
কখন বালিশ বদলানো প্রয়োজন?
ঘুম থেকে ওঠার পর নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, চোখ চুলকানো বা জল পড়া কিংবা দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা হয়, তবে তা বালিশ বদলানোর পূর্ব ইঙ্গিত হতে পারে। এছাড়াও বালিশে দৃশ্যমান দাগ, দুর্গন্ধ, ঢিলে হয়ে যাওয়া বা তুলো দলা পাকিয়ে গেলে সেই বালিশ পরিবর্তন করুন।
সাধারণভাবে ডাক্তারদের পরামর্শ প্রতি ১–২ বছরে একবার বালিশ বদলানোর ভাল। এতে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান জমতে পারে না। তবে যাদের হাঁপানি বা সাইনাসের সমস্যা বা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, তাঁদের জন্য প্রতি ৩–৬ মাসে একবার বালিশ বদলানো প্রয়োজন। পুরনো বালিশ অ্যালার্জি বাড়াতে পারে, হাঁপানি তীব্র করতে পারে, আর কিছু ক্ষেত্রে হাইপারসেনসিটিভিটি নিউমোনাইটিস বা অ্যাসপারগিলোসিস-এর মতো গুরুতর ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে।