যেভাবে রক্তাক্ত হলেন নুরুল হক নুর

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারাত্মক আহত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও দলের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টার দিকে দ্বিতীয় দফায় জাপা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তখন এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যায় জাপা কার্যালয়ের সামনে এক দফা সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদিকে ভিপি নুরের কর্মীদের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে থেকে ধাওয়া দিয়ে পল্টনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে অবস্থান করেছিলেন নুর। এসময় গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা জাতীয় পার্টি অফিসের দিকে ছুটে যান।

সেনাবাহিনী এবং পুলিশের ধাওয়া খেয়ে কর্মীরা কার্যালয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। তখনই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মিলে সবাইকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করেন। তাদের ফাঁকে পড়ে নুর আহত হন। ধারনা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশের লাঠিচার্জেেই আহত হন নুর।

গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা জানান, নুরের মাথা ফেটে গেছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিকটস্থ কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে বিজয়নগর হয়ে দলীয় মিছিল কাকরাইলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার সময় আতঙ্কে পথচারীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উভয়পক্ষের কর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে।পরে পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *