কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় ৫টি সুপারফুড!

কিডনির সুস্থতা বজায় রাখা সমগ্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করা, দেহের তরল সমতা বজায় রাখা এবং ইলেক্ট্রোলাইট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বর্তমান সময়ে কিডনির রোগের সংখ্যা বাড়ছে, যেখানে জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার কিডনিকে ক্ষতি করতে পারে, আবার কিছু খাবার স্বাস্থ্য বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এমন ৫টি সুপারফুডের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি, যা কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।

১. ব্লুবেরি
ব্লুবেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যেমন অ্যানথোসায়ানিন, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কিডনির কোষ রক্ষায় সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্লুবেরি নিয়মিত খেলে কিডনির প্রদাহজনিত চিহ্ন কমে। এতে থাকা প্রোঅ্যানথোসায়ানিন, ফ্ল্যাভানল এবং ফেনোলিক অ্যাসিডও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্লুবেরি মেটাবলিক সিনড্রোম সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদী কিডনির রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ব্লুবেরিতে পটাসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ কম, তাই এটি কিডনির জন্য খুবই নিরাপদ। স্বাদও দারুণ, তাই আরও একটি কারণে এটি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

২. স্যামন মাছ
ফ্যাটি মাছ কিডনির জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্যামনের মতো ফ্যাটি মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। এগুলো প্রদাহ কমায় এবং কিডনির ক্ষতি রোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ গ্রহণ কিডনির রোগীদের ইউরিনে অতিরিক্ত প্রোটিনের মাত্রা কমাতে সহায়ক।

স্যামন মাছ উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস, এবং এটি হৃদয়, মস্তিষ্ক, চোখ, প্রদাহ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। বন্য স্যামন পাওয়া গেলে তা আরও ভালো, কারণ এতে দূষক পদার্থের মাত্রা কম থাকে।

৩. কেল পাতা
সবজি খান। বিশেষ করে কেল পাতার মতো সবুজ শাক-সবজি হৃদয় এবং কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। কেলে ভিটামিন এ, সি ও কে প্রচুর থাকে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ফাইবারযুক্ত হওয়ায় শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক। কেলকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে। এটি স্যালাড বা স্মুদি আকারে খাওয়া যায়। তবে কিডনির রোগীদের জন্য এটি সবসময় উপযুক্ত নাও হতে পারে।

৪. লাল বেল পেপার
বেল পেপার প্রিয় মানুষের জন্য সুখবর। লাল বেল পেপার কিডনির জন্য খুবই উপকারী। এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ কম, কিন্তু ভিটামিন সি, এ এবং ফাইবার প্রচুর। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি৬ ও ফলিক অ্যাসিড থাকে। কাঁচা খাওয়া, রোস্ট করা, সেঁকা বা স্যালাড ও স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যায়।

৫. ফুলকপি
ফুলকপি কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করতে চমৎকার। এটি কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত। ফুলকপি খেলে হজম উন্নত হয়, টক্সিনের জমা কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। এছাড়াও হৃদয় স্বাস্থ্য উন্নত হয়। সালফার যৌগযুক্ত ক্রুসিফেরাস সবজির মধ্যে ফুলকপি কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

এই পাঁচটি সুপারফুড নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনির রোগের ঝুঁকি কমে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারার সঙ্গে এগুলো যুক্ত করলে কিডনিকে সুস্থ রাখা সহজ হয়ে যায়।

সূত্র:https://tinyurl.com/yhv7pp6b

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *