পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সেই আনিসা

এইচএসসির প্রথম দিনের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীক্ষার্থী আনিসা আহমেদ। পরীক্ষার দিন তিনি দাবি করেছিলেন, অসুস্থ মাকে হাসপাতালে নেওয়ার কারণে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়,

আর দেরির কারণে প্রবেশের সুযোগ পাননি। সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের সামনে তার কান্না ও ছোটাছুটির ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

অনেকেই তাকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড আনিসাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

তবে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়—একটি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং অন্যটি সরকারি বাঙলা কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। দুই পক্ষের তদন্তেই আনিসার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ঘটনার মিল পাওয়া যায়নি।

ফলে তাকে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় বসানোর সুযোগ আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে বোর্ড জানিয়েছে, যদি আনিসা বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ৬৬ নম্বর পায়, তাহলে দুই পত্র মিলিয়ে তাকে পাস করিয়ে দেওয়া হবে।

রবিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা বোর্ড, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “ওই ছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করা হয়েছে, এবং সেগুলো বিবেচনায় রয়েছে। পরীক্ষা না দিয়েও পাসের সুযোগ থাকতে পারে, যদি দুই পত্রে মিলিয়ে ৬৬ নম্বর পাওয়া যায়।”

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব ও ঢাকা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আনিসার মায়ের অসুস্থতা সংক্রান্ত বর্ণনার সত্যতা মেলেনি। তার মা ওই হাসপাতালের নিয়মিত রোগী এবং সেদিন হঠাৎ ভর্তি হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। এমনকি হাসপাতালে ভর্তির তথ্যেও প্রশ্ন থেকে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *