আ.লীগ কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ, যা বললেন মেজর সাদিকের স্ত্রী

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দাবি করেছেন, আগে থেকেই সেখানে সব আয়োজন করা ছিল। তিনি এবং তার স্বামী কিছু সময়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন মাত্র।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে জাফরিন বলেন, আগে থেকেই ওটা অ্যারেঞ্জ করা ছিল। সেখানে ইনভাইটেশন পেয়ে আমি ও আমার হাজবেন্ড কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, জায়গাটা অন্য কেউ ভাড়া করেছিল। কিন্তু দোষটা আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। দয়া করে আমাকে রিমান্ডের মতো ডিসিশন দেবেন না। কিছু জানার থাকলে এমনিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমি উত্তর দেব। আমি নিজে এটা করিনি। তাই অনুরোধ আমাকে রিমান্ড দেবেন না।

পরে শুনানি শেষে ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাফরিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীনসহ অন্যরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি জানায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে একটি কনভেনশন হলে ‘গেরিলা প্রশিক্ষণের’ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সময় মেজর সাদিকের সঙ্গে তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনও উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় সাদিককে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। পরে তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।

ডিএমপির ডি‌সি (মি‌ডিয়া) মুহাম্মদ তা‌লেবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন‌কে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের জিজ্ঞাসাবো‌দে নতুন নতুন তথ্য সাম‌নে আস‌ছে ব‌লেও জানান এ পু‌লিশ কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *