৩০ আসন চাওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অসত্য

৩০টি আসন চেয়ে সাড়া না পেয়ে চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে জামায়াত পিআরের দাবি তুলছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যকে অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে আখ্যা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার মঙ্গলবার বিবৃতিতে বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো প্রবীণ রাজনীতিবিদ দিয়েছেন, তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এই বক্তব্যের সঙ্গে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। এই বক্তব্য যদি তাঁর হয়ে থাকে- তাহলে জামায়াত কার কাছে আসন দাবি করেছে- এর প্রমাণ জাতির কাছে উপস্থাপনের আহবান জানাচ্ছি।

গোলাম পরওয়ার বিবৃতিতে বলেছেন, কারো কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সঙ্গে জামায়াতের দূরতম সম্পর্ক নেই। মির্জা ফখরুল যদি তাঁর বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আহ্বান জানাব সত্য মেনে নিয়ে তিনি যেন ন্যূনতম পক্ষে জনগণের সামনে দুঃখ প্রকাশ করবেন।

সোমবার ভারতের কলকাতাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। তাতে “জামায়াত ৫০টা আসন চেয়েছে- প্রশ্নের জবাবে মির্জার ফখরুলকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত হয়েছে, ৩০টা চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনমতো হয়নি। আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি, জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেবো না।”

যদিও বিএনপি জানিয়েছে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। দলটি স্পষ্ট করেনি প্রকাশিত সাক্ষাতকারের কোন কোন অংশে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রকাশিত সাক্ষাতকারে মির্জা ফখরুলের বরাতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও ম্যান্ডেট নেই, তাদের সংস্কারের গুরুত্বই বা কী! জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সহযোগী দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত। ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। বিএনপির পক্ষে আমি আশ্বাস দিচ্ছি, জামায়াতকে আর সুবিধা নিতে দেবো না। এসব বক্তব্যের সমালোচনা চলছে সামাজিকমাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *