
নিউইয়র্কের আকাশে অল্পের জন্য সংঘর্ষ এড়াল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান ও স্পিরিট এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর— দ্য ইকোনমিক টাইমস।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ফোর্ট লডারডেল থেকে বোস্টনগামী স্পিরিট এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ-৩২১ (ফ্লাইট ১৩০০) এবং রাষ্ট্রপতির বোয়িং ৭৪৭ প্রায় একই উচ্চতায় কাছাকাছি চলে আসে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বারবার দিক পরিবর্তনের নির্দেশ দেন।
যদিও বিমান দুটি কয়েক মাইল দূরে ছিল এবং আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তাসীমা অতিক্রম করেনি, তবুও ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। একদিকে ছিল প্রেসিডেন্টের বিখ্যাত বিমান, অন্যদিকে নিউইয়র্কের কন্ট্রোলারের ক্ষুব্ধ রেডিও নির্দেশনার অডিও।
প্রথমে ঘটনাটি ব্লুস্কাই অ্যাপে ‘@JonNYC’ নামের একটি অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়। পরে এক্স-এ ‘@thenewarea51’ অ্যাকাউন্ট থেকে অডিও শেয়ার হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ব্লুমবার্গ এখনো মূল রেকর্ডিং দিয়ে অডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
অডিওতে শোনা যায়, কন্ট্রোলার প্রথমে একাধিকবার নির্দেশ দেন:
“স্পিরিট-১৩০০, মনোযোগ দিন। ডানদিকে ২০ ডিগ্রি ঘুরুন।”
পাইলটরা সঙ্গে সঙ্গে সাড়া না দিলে তিনি আরও উচ্চস্বরে বলেন:
“এখনই ডানদিকে ২০ ডিগ্রি ঘুরুন। দ্রুত।”
অবশেষে স্পিরিট এয়ারলাইন্সের পাইলটরা নির্দেশ মেনে নিলে কন্ট্রোলার সতর্ক করে জানান,
“স্পিরিট-১৩০০, আপনার বাম উইং থেকে মাত্র ৬-৮ মাইল দূরে একটি বোয়িং ৭৪৭ রয়েছে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, এটি কার এবং এর ভেতরে কে আছেন।”
শেষবারের মতো তিনি ক্রুদের উদ্দেশে বলেন,
“মনোযোগ দিন! আইপ্যাড বন্ধ করুন।”
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনে পৌঁছান। সেখানে উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজা চার্লসের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।