
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। তবে নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবুও দলটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কুমিল্লা-৪ (দেবীদার) আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এদিকে ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে দলের ভেতর ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সি, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক
মুন্সি এবং সাবেক ছাত্রনেতা এমএ আউয়াল খান—এই তিনজনের পৃথক গ্রুপ বর্তমানে সক্রিয়। এর মধ্যে মঞ্জু ও তারেকের গ্রুপ শক্তিশালী হলেও অভ্যন্তরীণ বিভক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই বিভাজনকে কৌশলে কাজে লাগাচ্ছেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। নানা উসকানি ও সমালোচনা পাশ কাটিয়ে তিনি তৃণমূলকে সংগঠিত করছেন এবং উন্নয়নকর্মে যুক্ত হচ্ছেন। তরুণ ও নবীন প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছেন তিনি। ২৪শে গণঅভ্যুত্থানে সামনের সারির নেতাদের একজন হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দেবীদার এলাকায় বিএনপির ভোটব্যাংক শক্তিশালী, আর ধানের শীষ প্রতীক জনপ্রিয়। তবে প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে এর ফায়দা নিতে পারে এনসিপি। অন্যদিকে, যদি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একত্রিত হয়, তবে পরিস্থিতি পাল্টেও যেতে পারে।
সাম্প্রতিক একাধিক উঠান বৈঠকে হাসনাত আব্দুল্লাহ জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার বক্তব্য, “কোনো প্রার্থী যেন জনগণকে ধোঁকা দিতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমরা উঠানের রাজনীতি চালাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই আমরা সংসদে দেখতে চাই।”
এলাকায় এখন বড় প্রশ্ন—দ্বন্দ্বে জর্জরিত বিএনপিকে পেছনে ফেলে তরুণ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ কি বড় কোনো চমক দেখাতে পারবেন?
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=7yM1CskboUA