
বর্ষাকাল শেষ হলেও দেশে এখনো সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল নোয়াখালীর হাতিয়ায় সর্বোচ্চ ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজও দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঢাকা ও এর আশপাশের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে এবং হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই সঙ্গে রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে দেশের নদী বন্দরগুলোর জন্য আলাদা সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দেশের আট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বুধবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।