উড্ডয়নের পরপরই বোয়িং বিমানে আ’গুন

গ্রিসের করফু থেকে উড্ডয়নের পরপরই যাত্রীবোঝাই একটি বোয়িং ৭৫৭-৩০০ বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ভয়াবহ এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ আরোহী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে জার্মান স্বল্পমূল্যের বিমান সংস্থা কনডর পরিচালিত দুশেলডরফগামী ফ্লাইটটিতে ২৭৩ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু ছিলেন। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ডানদিকের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়।

সোমবার (১৮ আগস্ট) এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইট ডিই৩৬৬৫ স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১৯ মিনিটে করফুর ইওয়ানিস কাপোডিস্ট্রিয়াস বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার ৪৩ মিনিট পর ইতালির ব্রিন্দিসির কাসালে বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের ডান পাশের ফিউজলাজ থেকে আতশবাজির মতো ঝলক বের হচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি সম্ভবত এক ঝাঁক পাখির ভেতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাখির আঘাতেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তবে এনডিটিভি ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, প্রথমে করফুতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। পরে এক ইঞ্জিন চালু রেখে ব্রিন্দিসিতে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। কনডর যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে ব্রিন্দিসিতে পর্যাপ্ত হোটেল না থাকায় যাত্রীদের রাতটি বিমানবন্দরে কাটাতে হয়। পরদিন তাদের দুশেলডরফে পাঠানো হয়।

বোয়িং ৭৫৭ মডেলটি প্রায় পাঁচ দশক ধরে ব্যবহৃত প্রাচীন যাত্রীবাহী বিমানগুলোর একটি, যার ডাকনাম ‘আতারি ফেরারি’। তবে এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও একাধিকবার আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় বোয়িং বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ারলাইনসের একটি লস অ্যাঞ্জেলেস-আটলান্টা ফ্লাইটে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া চলতি বছরের ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড পরই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়। তাতে ২৭২ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই নিহত হন। মাটিতেও প্রাণ হারান আরও ১৯ জন। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *