পাকিস্তানে ২০০, ভারতে ৫০ জন নিহত!

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারি বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে।

বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুজন পাইলটসহ মোট ৫ জন মারা গেছেন বলে খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবেলা এজেন্সি জানিয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধ্সে ৮ জন নিহত হয়েছেন এবং নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে এটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে।

সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলা

স্থানীয়রা জানান, মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ।

সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৭টি দেহ উদ্ধার করা গেছে। বুনেরের ডেপুটি কমিশনারের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র ৭৮টি দেহ হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দেহগুলো হাসপাতালে বহন করে নিয়ে আসা যায়নি। এর মধ্যে শুধু গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন ১২০ জন।
চাঘারজাই তহশিলে একটি ভবন চাপা পরে একই পরিবারের ২২ জন সদস্য মারা গেছেন। উদ্ধার-কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন হিগুকান্দ এবং পীর বাবা এলাকায় বন্যায় বহু নারী ও শিশু আটকে পড়েছে। আল মদিনা নামের একটি হোটেল সম্পূর্ণ ভেসে গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়াতে ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবেলা এজেন্সি জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২জন শিশু রয়েছেন।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

মহামান্দ জেলা পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহার করা একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। বাজাউর জেলার সালারজাই এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল ওই এমআই-সেভেন্টিন হেলিকপ্টারটি। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। দুই পাইলটসহ মোট ৫ জন মারা গেছেন ওই ঘটনায়। ওই এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভারতের জম্মুতে বিপর্যয় :

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের কিশতোয়ারে মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে বড়সড় বিপর্যয় হয় বৃহস্পতিবার। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৮, আহত একশোরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেখানে।

সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *