যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় বাংলাদেশিসহ নিহত ৪

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি বহুতল অফিস ভবনে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সন্দেহভাজন হামলাকারী এবং এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, মিডটাউনে হামলায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন যাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি অভিবাসী বলেও জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তির গাড়িতে একটি এম-ফোর রাইফেল এবং গুলিবিদ্ধ ম্যাগাজিনসহ একটি রিভলবার পাওয়া গেছে। তার নেভাদা রাজ্যের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করার পর ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ।

তবে কী কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।

নিউ ইয়র্কের এই ঘটনায় বন্দুকধারী ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি পুলিশ। হামলাকারীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করলেও সে কীভাবে মারা গেছে তা এখনো জানানো হয়নি।

যদিও সিবিএস নিউজের মতে, হামলাকারী আত্মঘাতী গুলিতে মারা গেছে।

এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে এই ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানায় সিবিএস নিউজ।

একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি জানিয়েছেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।

মেয়র অ্যাডামস তাকে “অফিসার ইসলাম” বলে উল্লেখ করেন।

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, অফিসার দিদারুল ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা তাকে যে কাজটি করতে বলেছিলাম সে সেই কাজটিই করছিল। সে চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছে।”

পুলিশ জানায়, বন্দুকধারীর গাড়ি থেকে একটি রাইফেল কেস, একটি রিভলভার, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার পর স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নিউইয়র্ক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পার্ক অ্যাভিনিউর ওই অফিস ভবনে গিয়ে উপস্থিত হন। ভবনটিতে দেশের শীর্ষ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) অফিস রয়েছে।

স্থানীয় টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভবন থেকে মানুষ হাত ওপরে তুলে বেরিয়ে আসছেন। ওই ভবনে ব্ল্যাকস্টোন ও আয়ারল্যান্ডের কনসুলেট জেনারেলের অফিস রয়েছে। পুলিশ কমিশনার জানান, ভবনটিতে নিউইয়র্ক পুলিশের দুটি বাহিনী অতিরিক্ত দায়িত্বে কর্মরত ছিল, যাদের বেসরকারিভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

এ ঘটনার পর শহরের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ওই এলাকায় যানজট, রাস্তা বন্ধ ও গণপরিবহন বিঘ্নের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *