যেভাবে খোঁজ মিলে পাইলটের, জানালেন শিক্ষক

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকীর ইসলাম সাগর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাকে দুর্ঘটনার পর কীভাবে পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নাসিরুল ইসলাম। তিনি জানান, চাল ভেঙে আমার ঘরের মধ্যে পড়েন পাইলট।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষক নাসিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার সময় প্রচণ্ড শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে রুম থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। তাকিয়ে দেখেন বিমান যেখানে পড়েছে সেখানে আগুন ধরে গেছে। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুন আরও বাড়তে থাকে।

তিনি জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দুর্ঘটনার পর আমরা বারবার পানি দিচ্ছিলাম। কিন্তু কোনোভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। কিছুক্ষণ পর আমার বামে দেখি অনেকগুলো স্টুড্টে আমার নাম ধরে ডেকে বলছে, স্যার আমাদের বাঁচান।

নাসিরুল জানান, আমিসহ কয়েকজন মিলে গ্রিল ভেঙে ১২ থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করি। প্রায় আধাঘণ্টা পর আমি আমর বিভাগে আসি। তখন অমাার পিয়ন জানায়, স্যার ডিপার্টমেন্ট পুরোটা ভেঙে গেছে। সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করলে নিজ বিভাগে ফিরে আসেন তিনি।

তিনি বলেন, ভেতরে ঢুকে দেখি আমার ডেস্ক পুরো দুমড়ে মুচড়ে গেছে। উপরে প্যারাসুট দেখতে পাই। তখন গুঞ্জন ওঠে যে প্যারাসুট থাকলে মানুষ ভেতরে থাকতে পারে। এরপর বিমানবাহিনীর লোকেরা সার্চ করে আমার ঘরের এক কোনায় পাইলটকে পড়ে থাকতে দেখে। টিনের চাল ভেঙে আমার ঘরেই মধ্যে পড়েছিলেন পাইলট। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকীর একাই উড়াচ্ছিলেন।

আইএসপিআর জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *