
চলতি মাসের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কিকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ঠিকঠাক অস্ত্র পেলে রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গে হামলা চালাতে পারবেন?’
এক দিন আগেই সে কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। এ বার সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ‘ডিগবাজি’ খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সুর বদলে বললেন, মস্কোয় হামলা চালানো উচিত নয়!
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘মস্কোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের পক্ষে অনুচিত কাজ হবে।’ যদিও ক্রেমলিনের অভিযোগ, কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহের নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে আমেরিকা।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার হুমকির পাশাপাশি কিয়েভের সঙ্গে হাত মেলালে শান্তি প্রচেষ্টা আরও বিলম্বিত হবে বলে পরোক্ষে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
সোমবার ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির জন্য ৫০ দিন সময় বেঁধে দেন। পাশাপাশি, মস্কোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প জানান, নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (নেটো)-র সদস্যেরা কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেবে। সংবাদমাধ্যম ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের’ একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর, জেলেনস্কিকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আশ্বাসও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে, মস্কোয় হামলা চালানোর জন্য নাকি ইউক্রেনকে রীতিমতো উস্কানি দিয়েছেন ট্রাম্প!
গত ৪ জুলাই নাকি ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে প্রশ্ন করেন, ‘ঠিকঠাক অস্ত্র পেলে আপনি রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গে হামলা চালাতে পারবেন?’ এর উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, ‘অবশ্যই পারব! আপনি যদি অস্ত্র দেন।’ ফলে এক দিকে রাশিয়াকে শান্তিপ্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া, আবার অন্য দিকে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়ার আশ্বাস— সব মিলিয়ে ট্রাম্পের এই ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ বার তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল করলেন ট্রাম্প। সূত্র: তাস।