সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে নিহত ১১

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১১ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫২ পুলিশ সদস্য।

স্থানীয় সময় সোমবার (৭ জুলাই) স্বাধীন গণতন্ত্র আন্দোলনের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিক্ষোভে নামে দেশটির জনগণ। তবে, এটি দ্রুতই রূপ নেয় প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের আন্দোলনে।

রাজধানী নাইরোবিতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় গুলিবিদ্ধ আহতদের হাসপতালের নিয়ে যাওয়া হয়। শহরের প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের কেন্দ্রে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। তবে পুলিশের বাধা পেরিয়ে বিক্ষোভকারীরা রাজধানীতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এ সময় সেখানে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় বহু মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজারো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যায়।বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন, আন্দোলনকে বিতর্কিত ও দুর্বল করে দেখাতে সরকার অর্থ দিয়ে, সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও সরকার এই বিক্ষোভকে ‘ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

এর আগে গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকমেন বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো, যারা শান্তিপূর্ণ মিছিলে অনুপ্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা, ধ্বংস বা সহিংসতা ঘটাবে তাদের মোকাবিলা করা হবে কঠোরভাবে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য, দুর্নীতি, পুলিশি নিপীড়ন এবং সরকারের সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়াকে ঘিরে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এরইমধ্যে বড় আকার ধারণ করেছে কেনিয়ায়। এইসব কারণে গত মাসেও বিক্ষোভ হয়েছিল, যা একপর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *