
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। ইরান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা—এই তিনটি দেশ থেকে একযোগে হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলের ওপর। মিসাইল, ড্রোন ও রকেটের বৃষ্টিতে যেন চারদিকে আতঙ্কের আবহ।
ইরানের লাগাতার মিসাইল হামলার পর এবার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এবং গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিও যুক্ত হয়েছে সরাসরি হামলায়। শুক্রবার সকালে একসাথে তিন দিক থেকে ছোঁড়া হয় মিসাইল ও রকেট।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে আশকেলন, সেদ্রোত ও বেহেরসেবা অঞ্চলে ব্যাপক আঘাত হানে এসব রকেট। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের আকাশসীমায় ঢুকতেই সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয় সর্বত্র আতঙ্ক।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আইরন ডোম’ বেশ কয়েকটি রকেট ধ্বংস করতে পারলেও অন্তত দুটি রকেট আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচজন ইসরায়লি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েল চালায় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই অভিযানে লক্ষ্যবস্তু ছিল তেহরানের সামরিক ঘাঁটি, পরমাণু স্থাপনা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কারখানা। ওই হামলার প্রতিক্রিয়াতেই ইরান ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার সূত্রপাত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বহুমুখী আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকে ভয়ঙ্কর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে ইয়েমেন ও গাজার সরাসরি অংশগ্রহণ যুদ্ধের আগুনকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে আরব বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে।
সূত্রঃ https://youtu.be/fUmUwfE6sks?si=MM_BPTWu3W24MUtG