
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ফের ঘনিয়ে উঠেছে যুদ্ধের মেঘ। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত ভেঙে পড়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে আরও একটি কড়া পদক্ষেপ। পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্যের আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩ মে এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থে পাকিস্তান উৎপত্তি বা রপ্তানিকৃত সকল পণ্যের আমদানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হলো। এ নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্যের জন্য কোনো ব্যতিক্রম করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন আবশ্যক।
যদিও সরাসরি পাকিস্তান থেকে ভারতে পণ্য প্রবেশ খুবই সীমিত, তবে কিছু পণ্য তৃতীয় দেশের (যেমন: সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া) মাধ্যমে ভারতের বাজারে প্রবেশ করতো। এবার সেই পথও বন্ধ করতে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি।
কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হতাহতের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এরই মধ্যে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। এবার সমুদ্র ও আকাশপথেও নিষিদ্ধ হলো আমদানি।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে পরিস্থিতি ভিন্ন মাত্রা নিচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। আজাদ কাশ্মীরের নাগরিকদের খাদ্য মজুদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে স্পষ্ট হয়েছে, ইসলামাবাদ যুদ্ধের আশঙ্কা করছে।
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এরপর থেকেই বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের মোট আমদানির মধ্যে পাকিস্তানি পণ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ০.০০১ শতাংশেরও কম। সেই ক্ষীণ প্রবাহ এবার একেবারে বন্ধ করে দিল ভারত।
কাশ্মীর হামলা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের কফিনে যেন শেষ পেরেক ঠুকে দিল। দক্ষিণ এশিয়ায় তাই অনিশ্চয়তা, উত্তেজনা আর সন্দেহের ছায়া ঘন হতে শুরু করেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=tHAM1SaqhuA&t=5s