
জামিনে বের হয়েই রাতের আধারে গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মলাই চন্দ্র পলাশ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিবেশী জাকির মাতুব্বরের ঘর ভেঙ্গে ট্রলারে তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে এমন কান্ড করেছেন বলে জাকির মাতুব্বরের অভিযোগ।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের জাকির মাতুব্বর ২০০১ সালে সরকার থেকে এক একর জমি বন্দোবস্থ পায়। ওই জমিতে তিনি গত ২৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।
শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছর ৭ আগষ্ট প্রভাবখাটিয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলাই চন্দ্র পলাশ ওই বাড়ীর অন্তত ৮ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত বছর ৮ ডিসেম্বর বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে জাকির মাতুব্বর বাদী হয়ে মলাই চন্দ্র পলাশকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় মলাই বেশ কিছুদিন জেল হাজতে ছিলেন।
পরে আপোষ শর্তে তিনি জামিনে বের হন। শুক্রবার দিবাগত রাতে মলাই চন্দ্র পলাশ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী এনে ওই বাড়ীতে থাকা লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরে জাকির মাতুব্বরের ঘর ভেঙ্গে ট্রলারে তুলে নিয়ে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘরের ভিটা পড়ে আছে। আসবার পত্র নেই। স্থানীয় রফিক মৃধা ও গ্রাম পুলিশ নয়া মিয়া বলেন, ওই স্থানের ঘরে জাকির মাতুব্বর বসবাস করতো কিন্তু রাতের আধারে ঘরটি উধাও হয়ে গেছে।
জাকির মাতুব্বরের স্ত্রী রাজিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলাই চন্দ্র পলাশ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী এনে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে আমাদের সবাইকে একটি ঘরে আটকে রাখে।
পরে তারা আমার ঘর ভেঙ্গে ট্রলারে তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এর আগেও মলাই আমার বাড়ীর ৮ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমার স্বামী মামলা করেছে। ওই মামলায় জেল খেটেছে।
আপোষ শর্তে জামিনে এসে আমার ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার তার শাস্তি দাবী করছি। গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলাই চন্দ্র পলাশ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমতলী উপজেলা যুবদল আহবায়ক মোঃ কবির ফকির বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কোন কাজ করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।