রাহুল–প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটকের কারণ জানাল ‘দিল্লি পুলিশ’

ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভোটার তালিকা ইস্যুতে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। এ সময় পুলিশ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।

দিল্লি পুলিশ জানায়, অনুমতির চেয়ে বেশি সংখ্যক এমপি উপস্থিত থাকায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। নয়াদিল্লি পুলিশের ডিসিপি দেবেশ কুমার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩০ জন সংসদ সদস্যকে বৈঠকের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক বেশি, তাই তাঁদের আটক করা হয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, বিক্ষোভকারীদের আটক ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান গেট থেকে গণমাধ্যমকে দূরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আটকের সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এটা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।’ পাশাপাশি তিনি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।

আটকের পর পুলিশের বাসে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র, তৃণমূল এমপি মিতালি বাগসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে রাহুল গান্ধী তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং অসুস্থ এক নারী এমপিকে অন্য গাড়িতে তুলে দেন।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষ অভিযোগ করেন, পুলিশ নারী এমপিদের ওপর বলপ্রয়োগ করেছে ও চুল ধরে টেনেছে। তাঁর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, বাসের পেছনের আসনে অসুস্থ মহুয়াকে ঘিরে রয়েছেন এবং তাঁকে শুশ্রূষা করছেন অন্যান্য নারী এমপিরা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিহারের ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ নাম বাদ পড়েছে। চলতি বছরের শেষে বিহারে ভোট; আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, আসাম ও তামিলনাড়ুতেও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপির স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

রাহুল গান্ধী পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছেন, ভোট চুরি হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলেও আদালত এখনো হস্তক্ষেপ করেনি; কেবল কিছু পরামর্শ দিয়েছে। মামলার শুনানি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *