
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনস্থ সব সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত কোর্সে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য দৈনিক ভাতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, চাকরির গ্রেড অনুযায়ী এখন প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা পাবেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নবম গ্রেড এবং তার উপরের পর্যায়ের কর্মচারীরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৮০০ টাকা এবং মাঠ পর্যায়ে যুক্ত থাকলে ১,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। অন্যদিকে, দশম গ্রেড এবং তার নিচের কর্মচারীরা কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে ৬০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্ত থাকলে ৭০০ টাকা পাবেন।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ থেকেই এই ব্যয় নির্বাহ করতে হবে, এর জন্য অতিরিক্ত কোনো বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। সমস্ত আর্থিক বিধি-বিধান মেনে এবং সংস্থার নিজস্ব সম্পদের সীমার (রিসোর্স সিলিং) মধ্যেই খরচ করতে হবে। কোনো আর্থিক অনিয়ম হলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষকে দায় নিতে হবে।
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় প্রশিক্ষকদের ভাতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা দ্বিগুণ করা হয়। তাতে উল্লেখ ছিল, যুগ্ম সচিব বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা প্রতি ঘণ্টার প্রশিক্ষণে ৩,৬০০ টাকা এবং উপ-সচিব বা নিচের গ্রেডের কর্মকর্তারা ৩,০০০ টাকা পাবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের ক্ষেত্রে, গ্রেড-৯ এবং তার ওপরে প্রতিদিন ১,২০০ টাকা এবং গ্রেড-১০ ও তার নিচের জন্য ১,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এই ভাতা কেবল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ না হলে খাবারের খরচ গ্রহণযোগ্য হবে না এবং প্রকল্পভুক্ত প্রশিক্ষণে এ নিয়ম কার্যকর নয়। গ্রেড বলতে মূল চাকরির গ্রেডকেই বোঝানো হয়েছে এবং নতুন হারের কার্যকারিতা আদেশ জারির তারিখ থেকেই শুরু হবে।