
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার শেষ নেই। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষ হলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভোটের দিন ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা শুরু হয়। ফলাফলের জন্য বাইরে অসংখ্য শিক্ষার্থী অপেক্ষা করলেও শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো ফল প্রকাশ করতে পারেনি প্রশাসন।
দেরির মূল কারণ
জাকসু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার ভোট ও এমআর মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ ম্যানুয়ালি গণনা হওয়ায় সময় বেশি লাগছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রের সব ব্যালট বাক্স না আসা পর্যন্ত গণনা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শুক্রবার সকালে একজন শিক্ষকের মৃত্যুজনিত কারণে ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় সাময়িক ব্যাঘাত ঘটে।
ভোট ও প্রার্থীসংখ্যা
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এই জাকসু নির্বাচনে ভোটার ছিলেন মোট ১১,৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫,৭২৮ জন এবং ছাত্র ৬,০১৫ জন।
জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। একইসঙ্গে ২১টি হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়েছেন ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী।
প্রশাসনের দেরিতে ফলাফল ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও কমিশন বলছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।