হার্ট অ্যাটাক কেন এবং যাদের বেশি হয়!

হার্ট অ্যাটাক রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘটে। আমরা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি গোষ্ঠী, কারণ, শনাক্তকরণ, এবং প্রতিরোধের উপায়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি যেসব ব্যক্তির মধ্যে বেশি থাকে:

বয়স: ৪৫ বছরের বেশি পুরুষ এবং ৫৫ বছরের বেশি মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। যদি বাবা-মা বা ভাই-বোনের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা থাকে, তবে তাদের সন্তানেরা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এটি জিনগত কারণে হতে পারে, যা হার্টের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।

অবসাদ: মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং অবসাদও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। উদ্বেগের ফলে শরীরে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ হয়, যা হৃদপিণ্ডের উপর চাপ বাড়ায়। চাপের মধ্যে থাকলে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম নিতে হবে।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা: ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, শরীরচর্চার অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (যেমন: অধিক চর্বি ও চিনিযুক্ত খাদ্য) হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়া ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অস্বাস্থ্যকর শারীরিক অবস্থা: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, এবং স্থূলতা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে, ডায়াবেটিসের কারণে শরীরে রক্তের গ্লুকোজের স্তর বেড়ে যায়, যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর।

হার্ট অ্যাটাকের কারণ

হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণগুলো হলো:

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস: রক্তনালির ভিতরে চর্বি জমে গিয়ে ব্লকেজ সৃষ্টি হলে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় হৃদপিণ্ডের পেশীকে যথেষ্ট অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।

রক্তচাপের সমস্যা: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি হৃদপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং রক্তনালির ক্ষতি করতে পারে।

স্ট্রেস: দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন কার্যকর হতে পারে।

অলস জীবনযাপন: শরীরচর্চার অভাব এবং স্থূলতা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম হার্টের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

ধূমপান: ধূমপান হৃদরোগের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকি ফ্যাক্টর। এটি রক্তনালির মধ্যে সমস্যা তৈরি করে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *