প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের জন্য বিশাল বড় সুখবর!

বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার কার্যক্রম শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।

এছাড়াও দুর্গম চরাঞ্চলে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ভাতা, রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা এবং এক বছরের মধ্যে বদলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। শনিবার (৩ মে) সকাল ১০টায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা

পরিষদ হলরুমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা সভাপতিত্বে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নবিষয়ক এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতে দুই উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা এবং চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান। তিনি বক্তৃতায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিদ্যমান সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে বিদ্যালয়গুলোর ভৌত অবকাঠামো ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা শোনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আলী রেজা, সহকারী পরিচালক (একীভূত শিক্ষা) রোখসানা পারভিনসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৮৮ জন প্রধান শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৮২ জন কর্মকর্তা।

চলতি মাসেই সুখবর আসছে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য!

পহেলা মে (মে দিবস) ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, গত ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি।

এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি। এতে একই সঙ্গে তিনদিন ছুটি পেয়েছেন তারা। এবার একইমাসে আরো একবার তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি।

এর আগে দু-দিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে তাদের। অর্থাৎ একই মাসে দুবার তিনদিন করে ছুটি পাচ্ছেন তারা। এর আগে গেল পবিত্র ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি কাটিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচদিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে নির্বাহী আদেশে আরও একদিন ৩ এপ্রিল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। এছাড়া ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ারও সুযোগ আছে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্মানুযায়ী নির্ধারিত তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত

করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইনকানুন দিয়ে চলে (যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক) অথবা যেসব অফিস,

সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের (জরুরি সেবাসংক্রান্ত) চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেগুলো নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।