মারা যায়নি আবু সাঈদ, আছেন ফ্রান্সে: যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

সম্প্রতি পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির ভিডিও প্রচার করা হয় ,ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে, যেখানে দাবি করা হয় তিনি, ‘আবু সাঈদ মারা যায়নি, ফ্রান্সে আছে। ড. ইউনূস তাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার।

তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি ‘আবু সাঈদ মারা যায়নি, ফ্রান্সে আছে। ড. ইউনূস তাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দিয়েছে’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং গোলাম মাওলা রনির ভিন্ন একটি মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপের সাথে ‘আবু সাঈদ জীবিত গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেল Golam Maula Rony’ শীর্ষক বাক্য বসিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির

সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে গোলাম মাওলা রনির অস্পষ্ট ও খণ্ডিত কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভিডিওতে দাবিটির পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। মূলধারার গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও গোলাম মাওলা রনির এ ধরনের মন্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, গোলাম মাওলা রনির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও আবু সাঈদকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্যের সন্ধান মেলেনি। বরং, গত ১৬ জুলাই তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আবু সাঈদকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ভারতের আসামে নারী-শিশুসহ ১৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম থেকে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন। আসামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সেন্টিনেল আসাম বলেছে, ভারত-বাংলাদেশ

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ১৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী এবং ৫ শিশু রয়েছে।

আসামের পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা বেঙ্গালুরু থেকে আসামের গুয়াহাটি হয়ে দক্ষিণ সালমারার মানকাচরে গিয়েছিলেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করেছেন।এক্সে দেওয়া পোস্টে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,

রাজ্যের সালমারা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। তারা বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা করে দক্ষিণ সালমারার মানকাচার জেলায় পৌঁছান। পরে সালমারা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, তদন্তে গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আসাম পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা হলেন, মো. মেহেদী হাসান, চাঁদ মিয়া, রুমানা আক্তার, মো. রিজওয়ান হাওলাদার, জামাল শেখ, বিউটি বেগম, মুন্নি বেগম, নুসরাত জাহান, রুস্তম শেখ, রুবেল কুরেশী এবং পাঁচ শিশু।

এর আগে, গত সপ্তাহে আসাম পুলিশ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। আসমা আক্তার নামের ওই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

বিএসএফের গুলিতে নিহত মৌলভীবাজারের গোপাল, হাজির নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাকতির বাড়িতে গিয়ে মঙ্গলবার শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ। এসময় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি ফাহাদ আলম, সদস্য রুমন কবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি (স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয়ক সেল, সিলেট) আলী আব্বাস শাহীন ও তামিম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।নিহত গোপালের স্ত্রী দয়া বাকতি বলেন, আমার স্বামী শুধু বাগানে কাজ করতেন। কিন্তু বাগানে কাজ করে ১৭৮ টাকা রোজে তো পেট

চলে না। বড় মেয়ের অপারেশনে ৩ লাখ টাকা গেছে। ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ লাগে। কিস্তি আছে। তাই পাহাড়ে মাঝে মাঝে গিয়ে বাঁশ এনে বিক্রি করতেন। বাঁশ আনতে গিয়েই স্বামী মারা গেলেন। এখন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব,

এই চিন্তায় আমি দিশেহারা। প্রীতম দাশ বলেন, ভারত বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দিয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাচ্ছে। এভাবে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না।

উল্লেখ্য, রোববার বড়লেখায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইনের ২০০ গজ অভ্যন্তরে চা শ্রমিক গোপাল বাকতির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা, বাংলাদেশের খেলা কবে কখন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় হাইব্রিড মডেলের ৮ দলের এই টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১০ মার্চ পর্দা নামবে টুর্নামেন্টটির। ১৯ ফেব্রুয়ারি আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আয়োজক পাকিস্তান। ম্যাচটি হবে করাচিতে।

এছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। এই ম্যাচটি হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে।

৮ দলের টুর্নামেন্টে সর্বমোট ১৫ টি ম্যাচ হবে। আয়োজক পাকিস্তানের তিনটি মাঠ ছাড়াও নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে থাকছে দুবাই। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে গ্রুপ ‘এ’তে আছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বন্দি বিনিময় চিঠি পেয়ে যা বললেন সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ফেরত দিতে ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা, নয়াদিল্লি সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেছে। গণআন্দোলন দমনে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ প্রদানের অভিযোগে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে শতাধিক মামলা হয়েছে।

তিনি দেশে ফিরে এলেই তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একাধিকবার প্রকাশ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা কী করতে পারেন— সে সম্পর্কিত পরামর্শ তাকে দিয়েছেন বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মহেশ সাচদেব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাচদেব বলেন,

“বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিটি রয়েছে, সেটি অনেক সতর্কভাবে করা। এ চুক্তিটি রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রত্যপর্ণ প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে ফোকাস করে। তো, এখন চুক্তির এসব সতর্কতা ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির বর্তমান সরকারের প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিরুদ্ধে ভারতের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।

আদালতে তিনি লিখিতভাবে আবেদন জানাতে পারেন যে, ভারতের সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হবে।” “আবার ভারত বাংলাদেশের সরকারকে জানাতে পারে যে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হলে তার সঙ্গে ন্যায়বিচার হবে কি না— সে সম্পর্কে নিশ্চিত নয় তারা। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে ভারতের অনেক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আছে এবং

নয়াদিল্লির বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে ইউরোপ বলেছে, ভারতের বিচার ব্যবস্থা ও কারাগারগুলোর মান নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে। তো এখন এ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।” বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রথম খসড়া ‍চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৩ সালে। পরে ২০১৬ সালে চুক্তিটির সংশোধিত সংস্করণে স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা।

মূলত দুই দেশের সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে সংশ্লিষ্টদের বিনিময়ের উদ্দেশ্যেই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিল ভারত এবং বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক নোট প্রদান করা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই নোট গ্রহণ করেছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মহেশ সাচদেব বলেন, “প্রথমত, কূটনৈতিক নোট হলো দুই দেশের সরকারের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ের যোগাযোগ মাধ্যম। এটি কেবল একটা নথিগত রেকর্ড। এটা অনেকটা এমন…মনে করুন আপনি অন্য কোনো দেশে কোনো সঙ্গিত কনসার্ট বা টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে গেছেন, সেখানে হয়তো কোনো কিছু আপনার ভালো লাগল না এবং সেই ভালো না লাগার ব্যাপারটি আপনি সেই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানালেন। দুই দেশের সরকারের যোগাযোগের জন্য এর চেয়ে উচ্চতর অনেক পন্থা বা মাধ্যম রয়েছে।”

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার পুরোভাগে রয়েছে শেখ হাসিনার অবস্থান। প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্যও ব্যাপারটি অস্বস্তিকর। তবে মহেশ সাচদেব মনে করেন, বাংলাদেশ যদি অপেক্ষাকৃত উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক পন্থা অনুসরণ করে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায়, তাহলেও কিছু অনতিক্রম্য কূটনৈতিক জটিলতার কারণে ভারতের পক্ষে সেই অনুরোধ রাখা কঠিন হবে।

“কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। আমার ধারণা, তার সেই সফরে এ ব্যাপারগুলো আলোচনা হয়েছে। তারপরও আমি বলছি— বাংলাদেশ যে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইছে— এটা তো নতুন নয়, গত আগস্টে বাংলাদেশে সরকার পতন এবং নতুন সরকার গঠনের পর থেকে দু’দেশের মধ্যেই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখানে যে ব্যাপারটি লক্ষ্যনীয়, তা হলো শেখ হাসিনার ভারতে আসার

অনুমতি চেয়েছিল বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ, দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে তিনি এসেছিলেন। আমার মনে হয় যে বাংলাদেশের সরকারে বর্তমানে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন, যারা তাদের হৃদয়ের কথা শুনতে ইচ্ছুক নন। কারণ তারা খুব ভালো করেই জানেন যে হাসিনা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে গেলে সেখানে চরম অরাজকতা শুরু হবে।”

ভারতে শেখ হাসিনা কতদিন অবস্থান করবেন, সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লি নেয়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা, তবে এখন পর্যন্ত এই গুঞ্জনের পক্ষে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সাবেক এই ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এএনআইকে বলেন, “আমার মনে হয় তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। যদি তিনি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নয়াদিল্লি; আর এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে হবে— এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই…অন্তত আমি যদ্দুর জানি। আর এ কথা তো আমরা সবাই জানি যে তিনি যখন

ঢাকা ছেড়ে এসেছিলেন, সে সময় তাকে অস্থায়ীভিত্তিতে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। কারণ তখন ধারণা করা হয়েছিল, শিগগিরই ভারত থেকে অন্য কোনো দেশে তিনি চলে যাবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়ে আবেদনও করেছিলেন, কিন্তু দু’দেশই তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এ কারণেই তিনি এখানে রয়েছেন।”

“কিন্তু এখন যেহেতু তিনি এখানে রয়েছেন, তাকে যদি আমরা বহিষ্কার করি— সেক্ষেত্রে তা খুবই অনৈতিক একটি কাজ হবে।”

“আর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারপ্রধানদের নিজ দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা তো নতুন কিছু নয়। এই চলতি মাসেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নিজ দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় গিয়েছেন এবং রাশিয়া তাকে বিনা বাক্যব্যয়ে আশ্রয় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মস্কো আসাদকে এ ব্যাপারে একটি প্রশ্নও করেনি।”

“আমি শুনেছি তারা (বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাসিনাকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে। আইসিসি পরোয়ানা জারি করেও ফেলতে পারে, তবে আমাদের মনে রাখা উচিত যে পুতিন এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধেও কিন্তু আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং আইসিসির পরোয়ানা মাথায় নিয়েই তারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।”

“আসলে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, তাতে কাগজপত্র বা নথি বড় কোনো নির্ধারকের ভূমিকায় নেই। এমন বহু ব্যাপার এখানে রয়েছে যেসব চোখে দেখা যায় না, রাডারেও ধরা পড়ে না— সেসবই এই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণের সবচেয়ে বড় নিয়ামক।”

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতে এবার বিপিলে দল পেলেন নতুন তামিম

সদ্য সমাপ্ত যুব এশিয়া কাপে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে ব্যাট হাতে আসরের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন তামিম। অনলাইনে লাইভ খেলা দেখুন যশোরের এই তরুণ যুব এশিয়া কাপে ৫ ম্যাচে ২৪০ রান করেছেন। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে তার নামের পাশে আছে দুই ফিফটি।

পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ফলে চলমান এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও খেলার সুযোগ পান তিনি। এখানেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। নিজ বিভাগ খুলনার হয়ে করেন দুই অর্ধশতক। তাতে আসন্ন বিপিএলেও দল পেতে যাচ্ছেন এই ওপেনার।

সবকিছু ঠিক থাকলে বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলবেন তামিম। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তামিমকে দলে নিতে ইতোমধ্যেই বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রংপুর কতৃপক্ষ।

চলতি মাসের ৩০ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিপিএল। তবে গেল মাস থেকেই আসন্ন আসরকে ঘিরে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিসিবি। সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে এবারের বিপিএলকে পরিচালনার কথা জানিয়েছেন সভাপতি ফারুক আহমেদ।

এবারের আসরে উন্নতমানের ডিআরএস, হকআই, স্পাই ক্যামেরাসহ দেখা যাবে আধুনিকসব প্রযুক্তি। দর্শকদের জন্যও থাকছে নানা আয়োজন। ইতোমধ্যে বিপিএলের মাসকট উন্মোচন হয়েছে। এছাড়া একাদশ বিপিএলের অনেক কিছুতেই স্মরণ করা হবে জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলনকে।

শহীদ মীর মুগ্ধর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য থাকবে বিনা মূল্যে পানির ব্যবস্থা। গ্যালারির একটি অংশে থাকবে ‘জিরো ওয়েস্ট জোন’।অনলাইনে লাইভ খেলা দেখুন

দর্শকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে থাকবে ই–টিকিটের ব্যবস্থাও। তাছাড়া প্রথমবারের মতো এই আসরে থাকবে থিম সং। আর আলাদা আলাদা শহরে থাকছে একাধিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। টুর্নামেন্টের তিন আয়োজক শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২৩, ২৫ ও ২৭ ডিসেম্বর হবে কনসার্ট।

ডিবি হারুনের অবস্থান নিয়ে যে তথ্য দিলেন সাংবাদিক ‘নাজমুস সাকিব’

সাবেক ডিবি হারুনকে সাংবাদিক নাজমুস সাকিব বলেন, আমার জানার ইচ্ছা ছিল ডিবি হারুন কোথায় আছেন, কি করছেন? কারণ, ৫ তারিখের পর কেউ জানতো না কোথায় আছে, কি করছে। ছাত্রদের যে তিনি গণহত্যা করলেন, সেটা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা আছে কিনা।

সাক্ষাতকারে একটাপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন যে আপনি কি চান আমার একুল ওকুল দু’কুল চলে যাক। এরকম প্রশ্ন করার পরেও আমাকে বলা হচ্ছে আমি হারুনের দালাল। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব তথ্য জানান সাংবাদিক নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এ রকম একজন অপরাধীর ফোন নাম্বার সাংবাদিকরা পেলে তার সাক্ষাতকার নিবে এটাই

সত্যি। আমি হারুনের সাক্ষাতকার ওই ভাবেই নিয়েছি। তবে সাক্ষাতকারের আগে আমাকে কঠিন শর্ত দিয়ে দেয়, আমি তাকে কঠিন কোনো প্রশ্ন করতে পারবো না। তাহলে সে আমাকে ভবিষ্যতে সাক্ষাতকার দিবে না। ভবিষ্যতে যাতে আমি তাকে নিয়ে ফলোআপ স্টোরি করতে পারি সে জন্য তাকে আমি সফট প্রশ্ন করেছি। এটাই দর্শকদের অনেকে বুঝতে ভুল করেছে।’

নাজমুস সাকিব বলেন, ‘তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে। তাকে রাজ সাক্ষীও বানানো জেতে পারে। কারণ, হাসিনার যে অপরাধগুলো তা কাছ থেকে তার থেকে ভালো কেউ দেখেনি। দুর্ভাগ্যজনক, ওই সাক্ষাতকারের পর হারুন আমার নাম্বার ব্লক করে দেন এবং তার নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলেন।’

তিনি বলেন, ‘হারুন যতই নিজেকে এখন যতই কাকরাইল মসজিদের ইমাম দাবি করুক, এখন সবাই জানে হারুনই ছাত্রদের গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। হারুনের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাক্ষাতকারে হারুন তার অবস্থান সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি। তবে তার টাকা যারা বিদেশে পাচার করে তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি,

হারুন এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে আছেন। সেখানে তার সঙ্গে তার স্ত্রী সন্তান সবাই আছেন। হারুনের যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীন কার্ড আছে সেটাও আমি প্রমাণ করে দিয়েছি। এর আগে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর এখনো গ্রেপ্তার হননি বিক্ষোভ দমনে গুলি

ছুঁড়তে নির্দেশ দেওয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

তিনি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। ২০০৬ সালে ডিভি লটারি পেয়ে তার স্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। সে সূত্রে তারা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করতেন।

খেলার মাঠে মানবিক আচরণের কারনে প্রশংসায় ভাসছেন ‘জাকের আলী’

প্রবাদ আছে, যেমন কুকুর তেমন মুগুর। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটি বোধ হয় এই প্রবাদের উজ্জ্বল উদাহরণ। এর প্রমাণ অতীতে বহুবার দিয়েছে টাইগার বাহিনী। এর আগে বহুবার সাকিব আল হাসান, মাশরাফি, মাহমুদ্দুল্লাহ বা মিরাজসহ অনেকেই এই তকমা নিয়ে হয়েছেন সমালোচিত। আবার অনেক কারণে এরাই আবার ভেসেছেন দর্শকদের প্রশংসায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও এমন ঘটনাই ঘটল। তবে এবার আর সমালোচনা নয়, বিশ্বমিডিয়া প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগার ব্যাটার জাকের আলীর।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জাকেরের ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংসটি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জয়ের প্রধান কারণ, তবে ইনিংসের ১৪তম ওভারে তার মানবিক আচরণ মুগ্ধ করেছে সবাইকে। সেই কারণে মাঠের বিপক্ষ খেলোয়াড়, উপস্থিত দর্শক আর কমেন্টি বক্স ছাড়িয়ে জাকিয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লক্ষ কোটি মানুষ।

ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার মটির একটি শর্ট বলকে লক্ষ্য করে জাকের আলি পুল শট খেলেন। বলটি উড়ে গিয়ে ডিপ মিড উইকেট অঞ্চলের দিকে যায়, যেখানে ফিল্ডার ওবেদ ম্যাককয় ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। ম্যাককয় বলটি ধরার জন্য ডাইভ দেন, তবে বলটি তার হাত থেকে ফসকে যায় এবং তিনি বাজেভাবে মাটিতে পড়ে যান।

এই সময় জাকের আলি ও তার সঙ্গী দুটি রান সম্পন্ন করেন। ম্যাককয়ের মিস ফিল্ডিং এর সুবাদে তৃতীয় রান নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু এখানেই দেখা যায় জাকের আলির মানবিকতার দিকটি। তিনি লক্ষ্য করেন যে, ফিল্ডার ম্যাককয় ব্যথায় মাটিতে পড়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে রান নেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি অপরপ্রান্তে থাকা শামীম পাটোয়ারিকে সিগন্যাল দেন

তৃতীয় রান না নিতে। এই ছোট অথচ গভীর মানবিক আচরণ ক্রিকেট খেলার চেতনার উদাহরণ হয়ে ওঠে। জাকেরের এই আচরণ শুধু মাঠে উপস্থিত দর্শক নয়, ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের ভদ্রতার নজির এই প্রথম নয়।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সময় ইশ সোধিকে ম্যাঙ্কাড আউট করেছিলেন হাসান মাহমুদ। আম্পায়ারও আউট দিয়ে দেন, কিন্তু পরে অধিনায়ক লিটন দাস ও বোলার হাসান মাহমুদ ইশ সোধিকে ডেকে এনে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল করান।

আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য অ্যাভেইলেবল ‘সাকিব-তামিম’

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর খুব বেশি দূরে নেই। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টটি। যদিও ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে টুর্নামেন্টের ভেন্যু জটিলতা ছিল। হাইব্রিড মডেলে হলেও সেই জটিলতা খানিকটা কমেছে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।

এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দল কেমন হবে? ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়ার কারণে আইসিসির এই টুর্নামেন্টে খেলবেন তো সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল?

বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে আজ মিরপুরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সিলেকশনের জন্য সাকিব এবং তামিম এভেইলেবল। অর্থ্যাৎ, কোনো ঝামেলা না থাকলে নির্বাচকরা এই দুই ক্রিকেটারকে বাংলাদেশ দলে রাখতে পারবেন।

সাকিব আল হাসান এরই মধ্যে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলেও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে আপাতত দলের বাইরে রয়েছেন। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

অন্যদিকে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যায় ছিলেন পুরোপুরি নীরব। এ কারণে, দেশের মানুষের অধিকাংশই সাকিব দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলুক, তা চান না।

দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও কিছুটা নমনীয় হয়েছিলো; কিন্তু ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওয়ানা দিয়েও দেশে ফিরতে পারেননি। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ দল ওয়ানডে খেললেও সাকিব সেখানে ছিলেন না।

এর ফলেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিলো, বিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে খেলাবে কি না? অন্যদিকে তামিম ইকবাল সম্পর্কেও মানুষ জানতে চান, তিনিও খেলবেন কি না। কারণ, তামিম এখনও অবসর নেননি। এক বছরেরও অধিক সময় দলের বাইরে। ফিরতে চান শর্ত সাপেক্ষে। চলমান এনসিএল টি-২০ টুর্নামেন্টেও তিনি দারুণ ব্যাটিং করেছেন।

সুতরাং, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তামিম খেলবেন কি না, সেটাও বড় একটি প্রশ্ন। আজ বিসিবি সভাপতিকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি কোন খেলোয়াড় অবসর না নিয়ে থাকে, সে নির্বাচনের জন্য অবশ্যই অ্যাভেইলেবল।’ সাকিবকে নির্বাচকরা দলে নিতে চাইলে নিতে পারবেন, তবে তিনি যদি ব্যাক্তিগত কারণে না খেলেন, তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাকিব খেলেনি কেন, তা নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আসলে এই ব্যাপারটা একদমই ভিন্ন ইস্যু। এটাতে আসলে নতুন করে কিছু নেই। শেষ যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলেছি আমরা, সেখানে সে মানসিক অবস্থায় ছিল না খেলার মতো। যেতে পারেনি। এখন বলবে বিপিএল খেলবে কি আমার কাছে কোন আপডেট নেই তার ব্যাপারে।

তামিম সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘তামিমেরটা আসলে প্রধান নির্বাচক যে কথা বলেছেন, এখনো কোনো পলিসি নেই। যদি কোনো খেলোয়াড় অবসর না নিয়ে থাকে আর যদি নির্বাচকরা মনে করে তাকে দরকার, তখন ওই নির্বাচক প্যানেল নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলবে।’