দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের মাঝে এবার তাবলিগের সাদপন্থী এবং বিরোধী পক্ষ শূরাপন্থীদের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। চলমান উত্তেজনা নিরসনে সাদপন্থী হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কাকরাইল মসজিদের আশপাশে
বড় জমায়েত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে শূরাপন্থীদের। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামীকাল (২৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার কাকরাইল মসজিদের আশপাশে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরের অনুসারীদের কোনো রকমের বড় জমায়েত হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ ও মসজিদের আশপাশের এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন শূরাপন্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাকরাইল মসজিদের ভেতরেই ছোট আকারে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের।
সাদপন্থীদের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারীদের আগামীকাল (২৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে শবগুজারিসহ (রাত্রিযাপন) সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আদেশ জারির পর কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন শূরাপন্থীরা। এ সময় এই পক্ষের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘আমরা চাই দেশে আর কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না হোক।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা টঙ্গী ময়দানে যে নির্মম হামলা চালিয়েছে এবং গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সেটার পুনরাবৃত্তি করেছে, তখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন ছিল। আমরা এসব ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’
শুক্রবার সকালে সাদপন্থীরা কাকরাইলে আসতে চাইলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে কি না জানতে চাইলে রায়হান বলেন, ‘এটা প্রশাসন দেখবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংঘাত যেন না ঘটে সে কারণে প্রশাসন আদেশ জারি করেছে। এই আদেশের পর আশা করি, আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি ঘটবে না।’