ভারতের বিপক্ষে পাল্টা হুংকার দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারত হুংকার দিলে পাল্টা হুংকার দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। সীমান্ত রক্ষায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পিছপা হবো না। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের সীমানা রক্ষায় তোমরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। সীমান্তে প্রতিপক্ষের কাছে কোনো অবস্থাতেই পিঠ প্রদর্শন করবে না।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার ও কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে প্রতিপক্ষের কাছে কোনো অবস্থাতেই পিঠ প্রদর্শন না করার জন্য আমি তোমাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ মাতৃকার রক্ষায় তোমরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না।

বিজিবির নবীনদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে নাতিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, তোমরা আমাদের হতাশ ও নিরাশ করবে না। জেনে রাখবা, তোমাদের দেওয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই দেশের মানুষের নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করবে। তোমরাই হবে আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক।

তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সুপরিচিত এ বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা এবং সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সঙ্গে পালন করে আসছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সৈনিকরা আজ তোমরা যে তেজোদ্দীপ্ত কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেছো তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল তোমাদের কঠোর প্রশিক্ষণ, নিরলস প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও অদম্য আগ্রহের জন্য। মনে রাখবা, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরো বিস্তৃত হবে।

তোমরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তোমাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব।বিজিবির নবীনদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে নাএসময় অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ঢাকা,

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১০২তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ৩০ জুলাই বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) শুরু হয়।

প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে সর্বমোট ৬৯৫ জন রিক্রুটের মধ্যে ৬৪৯ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। দীর্ঘ ২৩ সপ্তাহের অত্যন্ত কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আজ আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের সূচনা হলো।

২০২৫ সালের শিক্ষাবর্ষে ছুটির তালিকায় টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ!

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পবিত্র রমজানের ছুটি শুরু হবে ২ মার্চ। এসময় ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা ও স্বাধীনতা দিবসসহ অন্যান্য ছুটি মিলিয়ে টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে।

দীর্ঘ এই ছুটির পর ৮ এপ্রিল ক্লাস শুরু হবে। এছাড়া, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা ১৫ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। দুর্গাপূজায় ৮ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে লক্ষ্মীপূজা ও ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত।

প্রতি বছরের মতো এবারও প্রধান শিক্ষকের জন্য সংরক্ষিত তিনদিনের বিশেষ ছুটি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান এই ছুটি বরাদ্দ করতে পারবেন। এছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিয়মিত ছুটি থাকবে।

শিক্ষা ছুটিতে আরও বলা হয়েছে:
১. শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত। সরকার ঘোষিত নির্দেশনার আলোকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে।

২. উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষা, নির্বাচনি পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময় ১২ কর্মদিবসের বেশি হবে না।

৩. স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবেন। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

৪. পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

৫. সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) ব্যতীত বছরে মোট ছুটি থাকবে ৭৬ দিন।

৬. কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।

৭. ছুটিকালীন অনুষ্ঠেয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন ও অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।
৮. এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য বিদ্যালয়সমূহে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও

পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।’

আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধীদের ‘মার্চ ফর ইউনিটি, বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’। এই গণজমায়েত থেকে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে না। তবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ তৈরির যে উদ্যোগ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে সেটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঘোষণাপত্রটি কেমন হবে তা জানাবে সংগঠনটি। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান রক্ত দিয়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আতিক গাজীর হাতের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমার ভাইদের চোখের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান। এই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমার হাজারো ভাইয়ের শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান। আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছি। আমরা রাষ্ট্রকে বলেছি, আমাদের যেন এ ব্যাপারে সমর্থন দেওয়া হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বলেছি, এই ব্যাপারে যেন আমাদের সমর্থন জানায় এবং এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। কারণ ঘোষণাপত্র ঐতিহাসিক দলিল। এই ঐতিহাসিক দলিলকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

এই ঐতিহাসিক দলিলের মধ্য দিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে। কিন্তু সেই ঐতিহাসিক দলিল যাতে আমরা উপস্থাপন করতে না পারি, সেজন্য বিভিন্ন ধরনের বাধার সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে বিজয় লাভ করেছি। সরকার আমাদের এই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে ইতিবাচক কথা বলেছে। সরকার এই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা অবশ্যই শহীদ মিনারে একত্রিত হবো।

আমার পূর্ববর্তী যে কর্মসূচি দিয়েছি, সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা বিপ্লবীরা সেখানে একত্রিত হবো। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র আসবে, কিন্তু তাই বলে আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। আমাদের আহত থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং ঢাকা শহরের মা-বোনেরা যেভাবে গত ৫ আগস্ট রাস্তায় নেমে এসেছিল, সেভাবে আমাদের ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে শহীদ মিনারে অবস্থান নেবে। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সারা ঢাকা শহরের মানুষকে বলবো, এই ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরকার একটি পেরেক মেরে দিয়েছে। তারা আমাদের ঘোষণাপত্রকে গ্রহণ করেছে।

তারা বলেছে, সরকারের জায়গা থেকে তারা ঘোষণাপত্র দেবে। কিন্তু আমরা আগামীকালকে সারা দেশের মানুষকে রাজপথে নেমে এসে এই ঘোষণাপত্রের পক্ষে শক্তি প্রদর্শন করতে বলবো। ৫ আগস্ট ঢাকা শহরের প্রতিটি বাড়ি ঘর থেকে মানুষ নেমে এসে, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে শপথ নিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল। আগামীকাল সেই গণঅভ্যুত্থানে অংশীদারের জায়গা থেকে ঢাকা শহরের প্রতিটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পক্ষে আমাদের সমর্থন জানাবে।

আমরা আগামীকাল ৫ আগস্টের মতো একটি গণজোয়ার দেখতে পাবো। সরকার ঘোষণাপত্রের পক্ষে যে অবস্থান নিয়েছে সেই অবস্থানকে সমর্থন জানাবো। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করে ঘোষণাপত্রের পথ বন্ধ করে দিতে না পারে। আব্দুল হান্নান মাসুদ আরও বলেন, আমাদের একাত্তরের ঘোষণাপত্র আছে, চব্বিশের ঘোষণাপত্রও হবে। সেটা সরকারের পক্ষ থেকে হবে এবং মানুষ আগামীকালই সেটার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে দেবে। আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঘোষণাপত্রের পক্ষে একটি মিছিল করবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রের পক্ষে এদেশের মানুষ অবস্থান নেবে এবং এই ঘোষণাপত্র কিভাবে হবে সেটা আমরা মঙ্গলবার সেখানে (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) বলে দেবো। পরে আরেক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল জানান, বিকেল ৩টায় তারা শহীদ মিনারে জড়ো হবেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’।

ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে।

এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। তার আগে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই দিন বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান করে এ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা জানান তারা।

হঠাৎ মধ্যরাতে ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

হঠাৎ করে মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি মিটিংয়ের পর

সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে কিছু দিনের মধ্যে

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। জবির অস্থিতিশীল অবস্থায় ছাত্রঅধিকার পরিষদের ৪ দাবি জবির অস্থিতিশীল অবস্থায় ছাত্রঅধিকার পরিষদের ৪ দাবি

প্রেস সচিবের এই ঘোষণার পর সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি মিটিংয়ে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ওয়াজ মাহফিলে নিলামে উঠলো ১ কমলা, বিক্রি হলো ২ লাখ টাকায়!

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের গোঘারকুল ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে নিলামে এ কমলাটি বিক্রি হয়।

এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন উপজেলার পৌর এলাকার গোঘারকুল ইসলামিয়া মতিলা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।

এই মাহফিলের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ভারত থেকে আগত ভারতের আওলাদে রাসুল সায়্যিদ আছজাদ আল মাদানি (র.)। এদিকে মাহফিল চলাকালে

এক প্রবাসী আওলাদে রাসুল সায়্যিদ আছজাদ আল মাদানীকে (র.) খাওয়ার জন্য কমলা দান করেন। এসময় তিনি ঐ কমলাটি ওয়াজ মাহফিলে নিলাম করেন।

কমলাটি নিয়ে নিলামের ডাক দিলে তখন ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত থাকা আমেরিকার নিউইয়র্কের জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা হাফিজ ইয়ামিন ২ লাখ টাকা দিয়ে কমলাটি কিনে নেন।

আগামীকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন পরিকল্পনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের!

কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ জানিয়েছেন,জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘিরে ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েত করার পরিকল্পনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।

এতে নিরাপত্তা ঘিরে থাকবে অন্তত ৫০০ পুলিশ সদস্য। সোমবার বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে

বৈঠক শেষে এসব কথা জানান কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ।

আগামী বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে । এসময় তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে অবসান হবে বস্তা পঁচা রাজনীতির। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সকল রাজনৈতিক দল নতুন এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলে আশাবাদ তাদের।

জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের বিষয়ে আসলো জরুরি নির্দেশনা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের স্মৃতি বিজড়িত দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এই অনুযায়ী, দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো কোনোভাবেই মুছে ফেলা বা এর কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করা যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোনো কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এই দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো নষ্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৬ দিন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গ্রাফিতি অঙ্কন ও দেয়াল লিখন করা হয়।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গণহ’ত্যার নিদর্শন, আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতি নিদর্শন স্বরূপ দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংরক্ষণের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

৫ আগস্টের মতো আবারও সবাইকে ৩১ ডিসেম্বর মাঠে নেমে আসার আহ্বান সমন্বয়কদের

আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ঐ দিন ৫ আগস্টের মতো সবাইকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার এ আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বিগত দিনের সিস্টেমগুলোকে বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।

এরইমধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সংশোধনী ও পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে যেসব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিলো সবার কাছেই পরামর্শ নেয়া হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পরপরই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না দেওয়ায় বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নানা সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আস্ফালন দেখাচ্ছে।

যেখান থেকে ১ দফার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকেই ৩১ ডিসেম্বর নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা হবে। তিনি জানান, পরবর্তী বাংলাদেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে।

তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে উঠেছে, সেটাকে ধারণ করে মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচনা করা হবে ৩১ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া বিচার নিশ্চিতের ইশতেহারও থাকবে ঘোষণাপত্রে। এ সময় তিনি ৫ আগস্টের মতো ৩১ ডিসেম্বরও সবাইকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ৫ আগস্ট বিভিন্ন বাঁধার কারণে যারা রাজধানীতে আসতে পারেন নি তারা সকলেই ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় চলে আসবেন।

সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে জাতীয় শহিদ মিনার থেকে নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হবে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরপর একই ধরনের দুটি পোস্ট দেওয়া হয়।

প্রথম পোস্টে লেখা হয়, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?’ পরের পোস্টে ইংরেজিতে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’। একই ধরনের পোস্ট দেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও।

আপাতত ৩০ হাজারই থাকছে ভাতা, তবে জুলাই মাস থেকে বেড়ে হবে…

স্বাস্থ্যসেবায় ৩০ হাজার টাকা ভাতা রেখেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করা পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে এই ভাতা বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হবে। রোববার বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবীসহ আরও অনেকে।

এছাড়া, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল,

ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবসহ আরও অনেকে।

এর আগে, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর ঘোষণা করা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন,

যার ফলে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। গত ২২ ডিসেম্বরেও একই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন চিকিৎসকরা, তখন সরকার পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল।