গাজা পুনর্গঠন নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

গাজা পুনর্গঠন নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মিশরের শার্ম আল-শেখে স্বাক্ষরিত হয়েছে বহুল আলোচিত শান্তিচুক্তি। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বের বহু শীর্ষ নেতা।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প একে “ঐতিহাসিক দিন” বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, এখন সময় গাজা পুনর্গঠনের। সাংবাদিকদের সঙ্গে বিমানে ফেরার পথে ট্রাম্প বলেন, “এটি এমন এক দিন যা কোটি মানুষের প্রার্থনার উত্তর। এখন আমাদের লক্ষ্য গাজা পুনর্নির্মাণ।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি এখন এক রাষ্ট্র বা দুই রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলছি না। আমি বলছি গাজা পুনর্গঠনের কথা।”

ট্রাম্পের ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি ২০ দফা পরিকল্পনায় গাজায় একটি অস্থায়ী প্রশাসন গঠনের উদ্যোগ রয়েছে। এ প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের জন্য গঠিত হবে একটি “বোর্ড অব পিস” বা শান্তি বোর্ড, যার নেতৃত্বে থাকবেন নিজেই। ট্রাম্প এ ক্ষেত্রে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিও। তবে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ কপি এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে (সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে) অবশিষ্ট ৪৮ জিম্মিকে ফেরত দিতে বলা হয়। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত ও ২৮ জন মৃত বলে জানা গেছে। সোমবার হামাস ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং চারজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করে।

তবে নিহত জিম্মিদের দেহ উদ্ধারে বিলম্ব নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে “হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম”, যারা হামাসের পদক্ষেপকে “চুক্তিভঙ্গ” বলে অভিহিত করেছে।

এর আগে ট্রাম্প জেরুজালেমে ইসরায়েলি সংসদে (কেনেসেট) ভাষণ দেন, যেখানে তিনি অন্তত ২২ বার দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা পান। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে “ইসরায়েলের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু” বলে অভিহিত করেন।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “বহু বছরের যুদ্ধ ও আতঙ্কের পর আজ আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, সাইরেন থেমে গেছে। এটি এমন এক সূচনা যা ইসরায়েলসহ সমগ্র অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির প্রতীক হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *