ন্যায্যতা ও বৈষম্যহীন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন সরকারি ১১ থেকে ২০ গ্রেডের চাকরিজীবীরা। তারা চান, নবম পে স্কেল আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই কার্যকর করা হোক।
তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন কাঠামোয় সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এ বেতন কাঠামোতে মোট ১৩টি গ্রেড রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
‘জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫’-এর কাছে নিজেদের প্রস্তাব ও দাবি জমা দিয়েছেন এই চাকরিজীবীরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম’-এর সদস্যরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
চাকরিজীবীদের দাবিতে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। তাদের প্রস্তাবগুলো হলো—
বাড়িভাড়া ভাতা:
ঢাকায় মূল বেতনের ৮০%
অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭০%
অন্য এলাকায় ৬০%
চিকিৎসা ভাতা: ৬,০০০ টাকা
সন্তান প্রতি শিক্ষা ভাতা: ৩,০০০ টাকা
যাতায়াত ভাতা: ঢাকায় ৩,০০০, অন্য এলাকায় ২,০০০ টাকা
ইউটিলিটি ভাতা: ২,০০০ টাকা
টিফিন ভাতা: দৈনিক ১০০ টাকা (মাসে ২,২০০ টাকা)
বৈশাখী ভাতা: মূল বেতনের ৫০%
ঝুঁকি ভাতা: ২,০০০ টাকা
পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের ভাতা: অতিরিক্ত ৪০%
বর্তমান পেনশন সুবিধা ৯০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি তুলেছেন তারা। পাশাপাশি আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকার বদলে ৫০০ টাকা করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫’ গঠন করা হয়।
সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
