জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জোট গঠনের নানা সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। এরই মধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছে বিএনপি। এককভাবে নির্বাচনে সক্ষমতা থাকলেও এবার ভোটের লড়াইয়ের জন্য কিছুটা
কৌশলী হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটি। তাই এবার নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাশে চায় বিএনপির হাই কমান্ড।
বিএনপির কৌশলবিদরা মনে করছেন, গণ আন্দোলনের আবেগ এবং ছাত্রনেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় এনসিপিকে পাশে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ফেসবাদ বিরোধী সব দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এর অংশ হিসেবে এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কার বিষয়ক আলোচনা হয়েছে।
গত সোমবার ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপি অন্য দলকে নিয়ে সরকার গঠনে প্রস্তুত। এসব দলের মধ্যে রয়েছে গত বছরের অভ্যুত্থানের সামনের কাতারে থাকা ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি নতুন দল। তাদের বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হবে।
এনসিপির নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করছেন না। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কার ও আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে জোট বা আসন ভাগাভাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি। একই সঙ্গে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সমঝোতা হতে পারে আবার নাও হতে পারে।”
এনসিপি নেতারা আশঙ্কা করছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আসন ছাড়লেও স্থানীয় পর্যায়ের সহযোগিতা নাও মিলতে পারে। সম্প্রতি নির্বাচনী আইন সংশোধন হওয়ায় এক দলের প্রার্থী আরেক দলের প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন না। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে সরাসরি বিএনপির প্রার্থী হতে হবে।
নতুন হলেও পুরনো রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মাঝে ভারসাম্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে এনসিপি। আন্দোলনের মাঠে সক্রিয়তা এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে দলটি এখন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
