সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে অবস্থিত আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে (এসিঅ্যান্ডএস) রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ৪৪তম এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের প্রথম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি গর্বিত ও ঐতিহ্যবাহী বাহিনী। আমাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষতা ও বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের যেকোনো চ্যালেঞ্জ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবেলা করা যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সেনাপ্রধান উভয় কোরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তিনি রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও জাতির সেবায় তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। একই সঙ্গে আধুনিক যুদ্ধ কৌশল, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের বাহিনীকে শুধু সামরিক শক্তিতেই নয়, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও কৌশলগত প্রস্তুতির দিক থেকেও সক্ষম হতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (এটিডিওসি)-এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার, কমান্ড্যান্ট এসিঅ্যান্ডএস, মাস্টার জেনারেল অব দি অর্ডন্যান্স, চেয়ারম্যান বেপজা, এনডিসির সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফসহ সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
বক্তব্য শেষে সেনাপ্রধান আর্টিলারি ও এয়ার ডিফেন্স কোরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি কোর দুটির প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর একই স্থানে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির দশম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের প্রথম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
