মানবদেহে মেরুদণ্ডের দুপাশে অবস্থিত দুটি কিডনি শিমের বিচির মতো, যা শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেলে শরীরে জমতে শুরু করে বিষাক্ত পদার্থ, যা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের চুলের স্বাস্থ্য প্রায়শই প্রথমে প্রভাবিত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গুরুতর কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাথার চুল অনেক দ্রুত পড়তে শুরু করে।
চুলের যেসব লক্ষণ কিডনির অসুস্থতার ইঙ্গিত দিতে পারে
চুল পাতলা হওয়া
সিকেডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। অনেক সময় চুলের পাতলা হওয়া ধীরে ধীরে ঘটে, ফলে শুরুতে অনেকে এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ভঙ্গুর ও শুষ্ক চুল
কিডনির সমস্যা বাড়তে থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে চুল ভঙ্গুর ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। আদ্রতা কমে যাওয়ায় চুল নরম ও জীবনশক্তিহীন দেখায়।
অকালে চুল পাকা
কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাসের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে চুলে প্রাকৃতিক রঙের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, যা স্বাভাবিক বয়সের চেয়ে আগে চুল পাকা বা সাদা-কালো হয়ে যেতে পারে।
চুল পড়া (অ্যালোপেসিয়া)
সিকেডি রোগীদের মধ্যে চুল পড়ার একটি সাধারণ ধরন হলো অ্যালোপেসিয়া। অনেক সময় কিডনির কার্যক্ষমতা কমলেও রোগীরা তা বুঝতে পারেন না, তবে উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও হতাশার কারণে চুল পড়া শুরু হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি হঠাৎ চুল পড়া বা চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তবে কিডনির কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করানো উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে চিকিৎসা ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
