সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি সরকারের মেয়াদেই গেজেট আকারে নতুন পে-স্কেল প্রকাশ এবং তা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে জাতীয় পে-কমিশন গঠিত হয়েছে, যা আগামী ডিসেম্বরে সরকারের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেবে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা বৃহস্পতিবার পে-কমিশনে নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব জমা দেন। প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ সমিতির নেতাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তাবে ‘সাকুল্য বেতন’ বা ‘পারিশ্রমিক’ নামে বিকল্প কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়েছে। এতে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর কোনো আর্থিক বা অনার্থিক সুবিধা থাকবে না। এই ধরনের বেতন কাঠামো ইতোমধ্যেই অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে চালু আছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রদত্ত সম্মানি বা ভাতা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য পৃথকভাবে এই সম্মানি গ্রহণ করছেন। এতে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ সুবিধাও বাতিলের প্রস্তাব পে-কমিশনে দেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অর্থ সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। তিনি বলেন, “পে-কমিশনের গেজেট প্রকাশের ওপর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে। তবে আগামী বছরের শুরুতে এটি কার্যকর হতে পারে।”
নতুন বেতন কাঠামোতে শুধু বেতন নয়, চিকিৎসা, শিক্ষা, পদোন্নতি ও অন্যান্য ভাতাতেও যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। তবে কিছু বিদ্যমান সুবিধা বাতিলের কথাও প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
