পাকিস্তানী বিমান হামলায় তিন আফগান ক্রিকেটারের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে) রশিদ খান। তিনি এ হামলাকে ‘অনৈতিক ও বর্বর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হতে যাওয়া আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আয়োজিত এই টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজটি ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসিবি জানিয়েছে, নিহত তিন ক্রিকেটার হলেন কবির, সিবগাতুল্লাহ ও হারুন। তারা পাকতিকা প্রদেশের উরগুন থেকে শরানা শহরে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন এবং ফেরার পথে পাকিস্তানি বিমান হামলার শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রশিদ খান ফেসবুক পেইজ ও এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক পাকিস্তানি বিমান হামলায় আফগান বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই হামলায় নারী, শিশু ও সেই তরুণ ক্রিকেটারদের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যারা দেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেছিল। এটি সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক ও বর্বর একটি কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসামরিক স্থাপনা ও নাগরিকদের ওপর হামলা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এই অবিচার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।’
রশিদ খান এসিবির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে যোগ করেন, ‘নিরীহ প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর এসিবি সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। এই কঠিন সময়ে আমি দেশের মানুষের পাশে আছি—আমাদের জাতীয় মর্যাদা সবার আগে।’
আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিরীহ বেসামরিক মানুষ ও আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের হত্যাযজ্ঞ এক নৃশংস ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি শুধু পাকতিকা প্রদেশের নয়, পুরো আফগান ক্রিকেট পরিবারের জন্য এক গভীর ট্র্যাজেডি।
অন্যদিকে আফগান দলের উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজ তার শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘আমরা গভীর শোকের সঙ্গে জেনেছি, পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলায় আমাদের দেশের কয়েকজন খেলোয়াড়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন এবং আমাদের জাতির শত্রুদের লাঞ্ছিত করুন।’
আফগানিস্তানের ক্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
