অবসরের পর পেনশনার সঞ্চয়পত্র দিয়ে মাসে মাসে আয়ের সুবিধা জেনে নিন

অবসরের পর পেনশনার সঞ্চয়পত্র দিয়ে মাসে মাসে আয়ের সুবিধা জেনে নিন

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মচারীদের জন্য মাসে মাসে আয় নিশ্চিত করতে সরকারের পেনশনার সঞ্চয়পত্র একটি লাভজনক বিকল্প। ২০০৪ সালে চালু হওয়া এই মেয়াদি বিনিয়োগ স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর।

সঞ্চয়পত্রের মূলধন ৫০,০০০ থেকে ১০,০০,০০০ টাকার মধ্যে যেকোনো পরিমাণে রাখা যায়। এটি কেনা ও নগদায়ন করা যাবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে।

মুনাফা প্রথম বছরের তুলনায় ধাপে ধাপে বাড়ে:

৭.৫ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগে প্রথম বছরে মুনাফা ১০.২৩%, পঞ্চম বছরে ১২.৫৫%।

৭.৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে প্রথম বছরে ১০.১১%, পঞ্চম বছরে ১২.৩৭%।

মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলেও নির্ধারিত হারে মুনাফা পাওয়া যাবে। অতিরিক্ত প্রদত্ত অর্থ মূলধন থেকে কমিয়ে অবশিষ্ট ফেরত দেওয়া হবে।

৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফায় কোনো উৎসে কর ধার্য হয় না। ৫ লাখ টাকার বেশি হলে মুনাফার ১০% উৎসে কর প্রযোজ্য।

এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন:

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য

মৃত সরকারি কর্মচারীর স্বামী/স্ত্রী/সন্তান (পারিবারিক পেনশনভোগী)

একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বিশেষ সুবিধা

প্রতি মাসে মুনাফা প্রাপ্তি

নমিনি নিয়োগের সুযোগ

বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর পর নমিনিকে সঞ্চয়পত্র ভাঙার সুবিধা

ঝুঁকিমুক্ত ও নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *