অক্টোবর মাস ঘিরে নাশকতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির একটি বড় পরিকল্পনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় নস্যাৎ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা-ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ভেস্তে যায়। জানা যায়, আওয়ামী লীগের একটি অংশ এই ‘মাস্টারপ্ল্যান’ নিয়ে এগোচ্ছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারকে হটাতে নতুন কৌশল
এবার অন্তর্বর্তী সরকারকে হটাতে দলের পলাতক নেতারা দেশি ও বিদেশি সহকারীদের সহায়তায় রাজধানী ঢাকায় বড় কিছু করার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ বিষয়ে ধারণাপত্র ও সতর্কবার্তা প্রদান করেছে।
সরকারের নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা
সরকারের পক্ষ থেকে হালনাগাদ সঠিক গোয়েন্দা তথ্য প্রদান এবং সে অনুযায়ী আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদানে পুলিশের সিক্রেট অ্যাপ গ্রুপে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
অক্টোবর ঘিরে এই ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অ্যাকশন প্ল্যান জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মূল পরিকল্পনাকারী ও নাশকতার ছক
সূত্র বলছে, মূলত পুরো পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের একটি কোর গ্রুপ থেকে। তাদের মিশন বাস্তবায়নে সারাদেশে কার্যক্রম স্থগিত রাখা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষদ্ধ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী আত্মগোপনে থেকে নাশকতার ছক কষছে।
এদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিন ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। ইতিমধ্যে এই চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নাশকতাকারীদের অ্যাকশন প্ল্যান
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নাশকতাকারীরা যে ধরনের অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাইছে, তা হলো- সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করে গুপ্ত হামলা,
চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের সংগঠিত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটানো, ঝটিকা মিছিলে বাধা দিলে সক্রিয়ভাবে পাল্টা হামলা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া, মাত্র ১ ঘণ্টার ব্যবধানে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে লাখো লোক জড়ো করার পরিকল্পনা।
আইজিপি’র মন্তব্য: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত
জানতে চাইলে অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল আলম বলেন, “পরাজিত শক্তি নানাভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করছে। দুর্গাপূজার মধ্যে ধর্মীয় সংবেদনশীলতা কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, এই কাজে দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে উসকানি দেওয়া হচ্ছে।
