লিভারে অল্প ফ্যাট থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে তা লিভারের কার্যক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে। চিকিৎসা না করলে সমস্যা সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারে পর্যন্ত গড়াতে পারে।
নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) এখন সাধারণ সমস্যা। এটি সাধারণত অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ কম থাকে। তবে ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে:
পেটের ডান পাশে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি
অতিরিক্ত ক্লান্তি
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
রোগ গুরুতর হলে দেখা দিতে পারে:
পায়ে ফোলাভাব (Pedal Edema)
ত্বক ও চোখের হলুদভাব (জন্ডিস)
গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের মল
মানসিক বিভ্রান্তি
পায়ে ফোলাভাব শনাক্তের উপায়:
যেখানে ফোলাভাব, সেখানে আঙুল দিয়ে চাপ দিন। যদি চাপ সরানোর পরও দাগ থাকে, সেটি হলো Pitting Edema, যা শরীরে তরল জমে থাকার কারণ হতে পারে এবং লিভারের সমস্যার প্রাথমিক সংকেত।
কতটা গুরুত্বপূর্ণ:
যদি পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়, অবহেলা করবেন না। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে লিভারের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
