ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শুক্রবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সীমান্তে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থিত সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে “মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা” পর্যন্ত হতে পারে।
এই মন্তব্যের সময় তিনি গত মে মাসে ঘটানো সন্ত্রাসী আক্রমণ ও ওই ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়া নিয়েই কথা বলেন।জেনারেল দ্বিবেদীর ভাষ্য, “অপারেশন সিঁদুর ১.০– এ আমরা বিবেচনা করে সংযম দেখিয়েছিলাম।
কিন্তু এবার আর কোনো সংযম দেখানো হবে না। তিনি বলেন, পরবর্তী ধাপে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যে পাকিস্তান নিজেই বুঝবে তাদের ভূ-অঞ্চলে টিকে থাকতে হলে সীমান্তে রাষ্ট্র সমর্থিত সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
সেনাপ্রধান দাবি করেন, গত মে মাসে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের ক্যাম্প ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের অংশে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসকে লালনপালন করা হচ্ছে।
সে পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যদি তখন ব্যবস্থা না নিত, তাহলে এই সত্য সহজে চাপা পড়ে যেত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংও একই অভিযানের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পক্ষে severalটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর উল্লেখ্য, ধ্বংস করা বিমানের মধ্যে এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ মডেলের বিমানও ছিল।
এপি সিং আরও বলেন, সংঘাতে অভিযানের পরে কথিতভাবে যুদ্ধবিরতি চেয়ে পাকিস্তানই এগিয়ে আসে। তাঁর বক্তব্য— এই যুদ্ধবিরতি পাকিস্তান পক্ষ থেকেই এসেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের ফল নয়। এ বছরের সংঘাতের সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতীয় কোনো বিমান ধ্বংস হয়েছে; তিনি তা “মিথ্যা প্রচারণা” বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন, পাকিস্তান তাদের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
বিমানবাহিনী প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে অপারেশনে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতীয় বিমান ও সেনাবাহিনী মিলে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নINEটি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট আঘাত করেছে। তিনি বলেন, প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরিকল্পনা ও লক্ষ্য সফল হয়েছে এবং এর ফলেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।
এই বিবৃতিগুলো এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া।
সূত্র: এনডিটিভি
