মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের এক বৈঠকে বলেছেন, এখন থেকেই সর্বোচ্চ স্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং জয়ের লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তার এই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন জানিয়েছে—রাশিয়াও তাদের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে, আবার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমাধানেও তারা সক্রিয়।
বৈঠকে কী নির্দেশনা দেওয়া হলো
হেগসেথ বললেন, শান্তি কাম্য হলেও তাকে ধরে রাখার জন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেনাদের শারীরিক মানদণ্ড কড়াকড়ি করে উন্নত করার কথা বলা হয়েছে; লেখাপড়ার পাশাপাশি ‘যুদ্ধক্ষেত্রে সক্ষমতা’ বেশি গুরুত্ব পাবে।
“ওয়োক” কালচার বা অত্যধিক প্রগতিশীল/বিভাজনমূলক নীতিগুলো আর গ্রহণযোগ্য হবে না—এ ধরনের নীতিবোধ সীমিত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া তাদের বাহিনী শক্তিশালী করার পদক্ষেপ বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে তারা শান্তিপূর্ণ সমাধান ও কূটনৈতিক পথ অনুসরণেও প্রস্তুত রয়েছে।
এই ঘোষণাগুলো সামরিক ও কূটনৈতিক মঞ্চে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা এবং কূটনৈতিক উত্তরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক নজরকেন্দ্র গড়ে উঠছে।
