আইএলটি২০ নিলামে দল পেলেন সাকিব, দ্বিগুণ দামে তাসকিন

আইএলটি২০ নিলামে দল পেলেন সাকিব, দ্বিগুণ দামে তাসকিন

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএলটি২০) প্রথম নিলামে শুরুতেই অবিক্রীত থাকার পর শেষ মুহূর্তে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তাসকিন আহমেদ।

ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির দল এমআই এমিরেটস বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ৪০ হাজার মার্কিন ডলারে কিনে নিয়েছে। অন্যদিকে, ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদকে দলে নিয়েছে শারজা ওয়ারিয়র্স, যেখানে তার দাম উঠেছে সাকিবের দ্বিগুণ—৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করা আইএলটি২০-এর নিলাম এবারই প্রথম দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো। নিলামে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় ছিলেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার),

তবে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউই তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসার সুখবর পাওয়ার দিনেও দল পাননি পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব। এছাড়া মোহাম্মদ আমির, জেসন রয়, টেম্বা বাভুমা, জিমি অ্যান্ডারসন এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের মতো পরিচিত ক্রিকেটাররাও অবিক্রীত রয়েছেন।

অশ্বিন আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য গত আগস্টে ভারতের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। নিলামে প্রথম ডাকে অবিক্রীত থাকার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে আবার যখন নিলাম ডাকা হয়, তখনই সাকিবকে এমআই এমিরেটস এবং তাসকিনকে শারজা ওয়ারিয়র্স কিনে নেয়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাসকিন আহমেদকে খেলার অনুমতি দিলে, এটি হবে দেশের বাইরে তার দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অভিষেক। এর আগে তিনি গত বছর লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছিলেন।

অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে প্রায় সব টি-টোয়েন্টি লিগে খেললেও সাকিব আল হাসানের আইএলটি২০-তে খেলা হয়নি। তবে তিনি এই লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে গত জুলাইয়ে গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) খেলেছেন। এবার এমআই এমিরেটসের হয়ে আগামী বছর ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া আইএলটি২০-এর চতুর্থ আসরে তার অভিষেক হবে।

২০২৬ আইএলটি২০-এর নিলাম ১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, দুবাইয়ের ফোর সিজনস হোটেল, জুমেইরাহ বিচে অনুষ্ঠিত হয়। নিলামের নিয়ম অনুযায়ী, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সর্বনিম্ন ১৫ লাখ ডলার খরচ করতে হবে, তবে ২০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না। প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ১৯ থেকে ২১ জন খেলোয়াড় থাকবেন। এর মধ্যে আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলো থেকে কমপক্ষে ১১ জন, স্বাগতিক আরব আমিরাতের ৪ জন, কুয়েতের ১ জন, সৌদি আরবের ১ জন এবং আইসিসির অন্যান্য সহযোগী দেশ থেকে অন্তত ২ জন খেলোয়াড় রাখা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ওয়াইল্ড কার্ড চুক্তির মাধ্যমে নিলামের বাইরে থেকে সর্বোচ্চ ২ জন খেলোয়াড় দলে ভেড়ানো যাবে, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার অতিরিক্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *