
‘রাজাকারদের ফাঁসি দিছি, আন্দোলনকারীদেরও ছাড়ব না। রাজাকারের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলোকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।’
গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এভাবেই আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার ট্রাইব্যুনালে চানখাঁরপুল গণহত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রোসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও ঢাবির সাবেক ভিসির ফোনালাপ তুলে ধরেন।
সেই অডিওতে মাকসুদ কামালকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ছাত্ররাজনীতির জন্য কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলেছিল, ওই রকম অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া আরো কোনো উপায় নেই।’
গতকাল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনসহ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।