কিডনি রোগীরা খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, কারণ খাদ্য কিডনির কার্যক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, দুপুরের খাবারে কিছু সুষম ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প রাখা জরুরি।
১. প্রোটিন: কিডনি রোগীদের জন্য প্রোটিন গ্রহণ সীমিত পরিমাণে করা উচিত। মাছ, ডিমের সাদা অংশ এবং চর্বিহীন মাংস যেমন মুরগির বুকের মাংস স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির ওপর চাপ বাড়াতে পারে, তাই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
২. সবজি: কম পটাসিয়ামযুক্ত সবজি যেমন শসা, পেঁপে, বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং বরবটি খাওয়া উচিত। সেদ্ধ করে খেলে সবজিতে থাকা পটাসিয়ামের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়, যা কিডনির জন্য সহায়ক।
৩. শর্করা (কার্বোহাইড্রেট): চাল বা ব্রাউন রাইস পরিমিতভাবে গ্রহণ করা উচিত। লবণ ও ফসফরাস কম থাকা আটা বা লবণহীন রুটি দুপুরের খাবারের জন্য ভালো বিকল্প।
৪. ফল: কম পটাসিয়ামযুক্ত ফল যেমন আপেল, পেয়ারা এবং আঙ্গুর খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এগুলো কিডনির জন্য নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, কিডনি রোগীদের খাদ্য পরিকল্পনায় এই ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে কিডনির উপর চাপ কমে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্ভব হয়।
