উত্তর কোরিয়ায় আত্মহত্যা আগে থেকেই ছিল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এবার সেই নিষেধাজ্ঞাকে আরও কঠোর করে তুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে যদি বেঁচে যান, তাহলে তাকেও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে আত্মহত্যার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ার ভেতরে এখন তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে, এমনকি ক্ষুধায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।”
দেশটির রায়ংগং প্রদেশে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বলা হয়, অনাহারে মৃত্যুর চেয়ে আত্মহত্যা সমাজে আরও বড় প্রভাব ফেলছে। বৈঠকে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “জেনারেল সেক্রেটারি আত্মহত্যা প্রতিরোধে নীতি অনুমোদন করলেও কর্মকর্তারা কার্যকর সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
উত্তর কোরিয়ার ভেতরের সূত্র জানায়, আত্মহত্যাকারীদের বড় অংশ দারিদ্র্য, খাদ্যসংকট ও জীবনযুদ্ধের চাপে এই পথ বেছে নিচ্ছে। কিন্তু এখন নতুন আদেশে আত্মহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও জীবন হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
