
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আয়না ঘর থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেলেন শিল্পী খাতুন (৫০) ও আব্দুল জুব্বার (৭৪)। শুক্রবার (২ মে) উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুক্তিপ্রাপ্ত শিল্পী খাতুন চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষী বিষ্ণু প্রসাদ গ্রামের মনসুর আলীর স্ত্রী ও বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বার একই ইউনিয়নের পূর্বপাইকড়া গ্রামের মৃত রুস্তম শেখের ছেলে।
ভিকটিম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফিল্মি কায়দায় শিল্পী খাতুন ও আব্দুল জুব্বারকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের পুত্র সুমনের বাড়ীর আয়না ঘরে আটক করে রাখে।
দীর্ঘ ছয় মাস জিম্মি থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে তারা মেঝে খুঁড়ে সুড়ঙ্গ পথে বের হয়। আয়না ঘরে ফেলে রাখা একটা কাঁচি দিয়ে দেওয়ালের পাশে একটু একটু করে খুঁড়ে তারা মেঝেতে সুড়ঙ্গ তৈরি করে আয়না ঘর থেকে বের হয়। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে লোমহর্ষক অপহরণের তথ্য দেন তারা।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, সংবাদকর্মী সহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়না ঘরের সন্ধ্যান পান। সেখানে তারা চেতনা নাশক ওষুধের এম্পল, সিরিঞ্জ ও অন্যান্য প্রামান্য সরঞ্জাম প্রত্যক্ষ করেন। এসময় চক্রের এক সদস্য নাজমুল ইসলাম তালুকদার আরফাত (৩৮) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়ান্দা বাহিনীর লোকজন তুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, নিখোঁজ দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের (আয়না ঘরের) মালিক ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থলের (আয়না ঘরের) মালিক ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। আব্দুল জুব্বারকে সিরাজগঞ্জ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আয়নাঘরের মালিকের বাড়ি ও আটক আরাফাতের বাড়ি বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে বলে গ্রামবাসী জানায়।